ছাত্র রাজনীতিতে নেতৃত্বের সংকট -শ্রী তাতিন্দ্র লাল চাকমা

দেশের রাজনৈতিক অবস্থা যখন চরম নৈরাজ্যময় হয়ে উঠে,সীমাহীন সন্ত্রাস যখন সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায় এবং বেপরোয়া দুর্নীতি যদি প্রশাসন যন্ত্রকে বিকল করে দেয় সর্বোপরি লাগামহীন বেকার সমস্যা যদি বাড়তেই থাকে তখন ছাত্র সমাজকে এসবের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রাজনীতি না করে আর উপায় থাকেনা। শাসকগোষ্ঠী যতই সোচ্চার কন্ঠে ঘোষণা করুক যে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা উচিত কিন্তু আজকের ছাত্র সমাজ যদি ভাবে আগামী দিনে বড় বড় ডিগ্রী লাভ করেও তার কি চাকুরীর সংস্থান হবে? চাকুরীর জন্য প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে যদি দেখে যে তার মেধার চাইতে বাম হাতের ব্যাপারটায় সবচাইতে বড়ো এবং নিয়ামক তাহলে শিক্ষাজীবন শেষে সে ছাত্র কোন পথ বেছে নেবে? তাই একজন ছাত্রকে সমাজের এই অনিয়ম অনাচার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কি করা যায় সে কথা ভাবতে হয়। সমাজের এই ভয়াবহ চিত্র দেখে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভবিষ্যতের জন্য রাজনীতির কথা ভাবতে হয়। তাই প্রচলিত সমাজে ছাত্রদের বিরাট একটা অংশের ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে না পড়ে উপায় থাকেনা
সামাজিক অবস্থানের দিক থেকে একজন ছাত্র স্বভাবতই দোদুল্যমান চরিত্রের হয়। কারণ তারা সমাজের দুই ধরণের চিত্র প্রায়ই দেখতে পায়। তার একটা হচ্ছে - সমাজে গরীবদের দুঃখ যন্ত্রণা,নির্যাতন-নিপীড়ন, শোষণ-বঞ্চনা যা প্রতিদিন প্রতিটি পদক্ষেপে দেখতে পায়। এসবের মধ্যে একজন ছাত্র স্বভাবতই গরীবদের দুঃখ দেখে বেদনাবোধ করে থাকে। তাদের যন্ত্রণা ও বঞ্চনা দেখে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। তাই গরীবদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে সংগ্রামের কাতারে ছাত্র জনতার কন্ঠই বেশী শোনা যায়। আর যে শিক্ষা তারা প্রতিনিয়ত পায় এবং সমাজে বিত্তবানদের যে আরাম আয়েশ ও ভোগ বিলাসের চিত্র দেখে আর সেই সংস্কৃতির সাথেই তারা পরিচিত হয় সেই সংস্কৃতির টানেও তারা গা ভাসাতে থাকে। তাই তাদের দ্বৈত চরিত্র। যাকে রাজনীতিতে পেটি বুর্জোয়া নামে অভিহিত করা হয়। এই শ্রেণীর ব্যাপক একটা অংশ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই শ্রেণীর লোকজন সমাজের অবস্থাভেদে নানা ধারায় ভাগ হয়ে যায়। তাদের একটা ধারা যারা সমাজ জীবনে চরম অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে হাবুডুবু খায় সে অংশটা চরম হতাশায় নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। মদ জুয়ার আড্ডায় যোগ দেয় এবং ধীরে ধীরে আত্মঘাতি কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। আর একটা অংশ সমাজের বিত্তবানদের কাছে আশ্রয় নেয় এবং ভাগ্যের অন্বেষণে প্রভূর মদদে কাজকর্ম চালাতে থাকে। উদ্দেশ্য - জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোন সুযোগ পাওয়া যায় কিনা? এই ধারাটি সাধারণতঃ বিত্তবান শ্রেণীর রাজনৈতিক বলয়ে আশ্রিত হয়। তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় প্রভুর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের উপর। কিন্তু সেই আনুগত্যেরও প্রতিযোগিতা চলে।ঐ প্রতিযোগিতায় তাল সামলাতে একজন ছাত্রকে অনেক ক্ষেত্রে তার বিচার বিবেক বুদ্ধিকে বিসর্জন দিতে হয়। আর নিজস্ব প্রতিভার বিসর্জন দেওয়ার অর্থ ব্যক্তিত্বহীন হয়ে পরগাছাবৃত্তি গ্রহণ করা। ছাত্র সমাজের এই ধারাটি সমাজে উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী হতে পারেনা। ফলে সমাজে তাদের শক্ত কোন নেতৃত্ব গড়ে তোলা সম্ভব হয়না। তাদের পরিণত আশ্রয়দাতা প্রভুর ভাগ্যের উপরই নির্ভরশীল হয়। বিদ্যমান সমাজে এই ধারাটি নেতৃত্ব গঠনে কোন অবদান রাখতে পারেনা।

ছাত্র নেতৃত্বের আরো একটা বড় দুর্বলতা হচ্ছে ঘন ঘন নেতৃত্বের পরিবর্তন দেখা যায় একজন ছাত্র নেতা কয়েক বছরের মধ্যে ভিন্ন পরিবেশে চলে যায়। বিশেষতঃ ছাত্র জীবন শেষে তাকে কর্মসংস্থানের কথা ভাবতে হয়। সে সময় কোন ছাত্রনেতা যদি চাকুরীতে যোগ দেয় কিংবা কোন ব্যবসার সাথে জড়িত হয় তাহলে তার জীবনেও তার দর্শনের পরিবর্তন হতে বাধ্য। চাকুরী করার মাধ্যমে দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য ভূমিকা রাখবে বলে যে ছাত্রনেতা ভাবে তাকে পয়লা নম্বরের মূর্খই আখ্যা দেয়া উচিত। যে ছাত্র জীবনে সবচাইতে স্বার্থ নিরপেক্ষ সেই ছাত্র জীবনের বৈশিষ্ট্যের ইতি ঘটে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার পর। কারণ পরিবার হচ্ছে সংগ্রামী জীবনের সবচাইতে বড় বাঁধা। অথচ পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনের পর সমাজের জ্ঞান, উৎপাদন সংগ্রামের জ্ঞান ও শ্রেণী সংগ্রামের জ্ঞান অর্জনের দীর্ঘ সাধনার প্রয়োজন। কিন্তু পারিবারিক সমস্যা মাথায় নিয়ে সমাজের এই বাস্তব জ্ঞান অর্জন একজন স্বাধীনচেতা মানুষের পক্ষে আর সম্ভব হয়না। কারণ ত্যাগই হচ্ছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মূল চাবিকাঠি। ছাত্র অবস্থায় যেভাবে নিঃস্বার্থভাবে সমাজের জন্য কাজ করা যায় পারিবারিক জীবনে জড়িয়ে পড়ার পর ততোটা আর সম্ভব হয়না। সম্ভব হয়না শিক্ষা গ্রহণে একনিষ্ঠ ও উদার হওয়া। এই সব বাঁধা যে ছাত্র নেতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়না সে ছাত্র নেতার ভূত-ভবিষ্যৎ গতানুগতিক হতে বাধ্য।

ছাত্র নেতৃত্ব যেহেতু মৌলিক নয় সেই হেতু জাতীয় পর্যায়ের কোন না কোন মূল রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। এই কারণে ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও তার বিকাশ সাধন করার বিষয়টিও ঐ রাজনৈতিক দলের উপরই নির্ভরশীল হতে হয়। কিন্তু সেই রাজনৈতিক দল যদি প্রগতিশীল চিন্তাধারা সম্পন্ন না হয় এবং রক্ষণশীল ও পশ্চাৎপদ চিন্তাধারায় সজ্জিত হয় তাহলে সেই দলের ছাত্র নেতৃত্ব অন্ধ কানাগলিতে হাতরাতে থাকবে। রাজনীতি যেহেতু জনগণের সাথে ঐ দলের সম্পর্কের ব্যাপার তাই নেতৃত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচনাটি হওয়া উচিত জনগণের সাথে ঐ ছাত্র নেতার সম্পর্ক কি রকম তারই উপর। আর তা না করে যদি শুধু গলাবাজি করতে পারা কিছু বাক সর্বস্ত ছাত্রদের দিয়ে কিংবা শুধু নেতাদের তোয়াজ করতে জানে এই ধরনের ছাত্র যাদের গুনাবলীতে অনুগত বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য বিশেষণ যোগ করে তাদের নেতা বানিয়ে ছাত্র নেতৃত্ব গড়ে তোলা যায় তাহলে সে নেতৃত্ব কোনদিন সংগ্রামী কিংবা প্রগতিশীল হতে পারবেনা। বিশ্বস্ততা শুধু নেতার নেতৃত্বের কাছে নয় বরঞ্চ জনগণের কাছে বিশ্বস্ত থাকতে পারাটাই হচ্ছে তার প্রধান মাপকাঠি। কারণ অতীতে অনেক ছাত্র নেতাকে দেখা গেছে ক্ষমতায় যাবার পর সেই জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে আর দ্বিধা করেনা। তাই জনগণের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সেই ছাত্রের কতটা আগ্রহ সে বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েই তার নেতৃত্বের গুনাগুণ খোঁজা উচিত। সেটা হচ্ছে একটা ব্যাপার। আর অন্য একটা ব্যাপারও আছে তা হচ্ছে শ্রেণী হিসেবে ছাত্ররা হচ্ছে সবচাইতে দোদুল্যমান। এই দোদুল্যমান শ্রেণী থেকে সঠিকতাকে বেছে নিতে হলে অবশ্যই তার সংগ্রামের দৃঢ়তাকে প্রমাণ করতে হবে। পরিস্থিতি একটুখানি জটিল হলে,বিশেষতঃ যখন জেল জুলুম ও বুলেটের হুমকি আসবে তখনও দৃঢ়তার সাথে সামনে এগুতে পারার মত সাহস ও দৃঢ়তা না থাকলে সেই নেতৃত্ব দেশের ও সমাজের জন্য গঠনমূলক কোন ভূমিকা রাখতে পারবেনা।

শ্রী তাতিন্দ্র লাল চাকমা মেজর পেলে

নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় ব্যাপার হচ্ছে আন্দোলনের বাস্তবতাকে অনুধাবন করা। কারণ স্থান-কাল-পাত্র ভেদে সমস্যাগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন চীনদেশের আন্দোলন আর ভিয়েতনামের আন্দোলন এক নয়। অনুরুপ ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশ আর বাংলাদেশের পরিবেশ এক নয়। এমনকি বাংলাদেশের অপরাপর অংশের সমস্যা আর পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা এক নয়। কারণ বাঙ্গালী জাতি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত। তাদের ধ্বংস হবার সম্ভাবনা নেই।কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জাতিসত্বাগুলোর ধ্বংস হয়ে যাবার সম্বাবনা সবচাইতে বেশী। তাই একই পরিবেশে ছাত্ররা বিদ্যার্জন করলেও জুম্ম ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রতিনিয়ত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হতে হয় এবং নিজেদের আবাসভূমি থেকে বিতারিত হবার আশাংকার সম্মুখীন হতে হয়। এই বাস্তবতা থেকে জুম্ম ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আলাদা রাজনৈতিক দল করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। অতীতে দেখা গেছে অনেক জুম্ন ছাত্র বড় বড় জাতীয় রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। কিন্তু ২০০০ সালের শেষ অবধি কেউ সফল হতে পারিনি। বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে এসে জুম্ন ছাত্র জনতার একটা রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কড়িন বাধা হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক উচ্শভিলাষ। এই উচ্ছভিলাষ থেকে ছাত্র জনতার নূতন রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়। তারা কিন্তু জুম্ম জনগণের সাথে যথেষ্ট পরিমাণে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছিল। জুম্ম জনগণও এই ছাত্র নেতাদের মধ্যে একটা সম্ভাবনা আশা করেছিল কিন্তু দেখা গেল প্রসিত সঞ্চয়ের নেতৃত্বে রাজনৈতিক উচ্ছভিলাষ থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তারা ভেবেছিল তারাই জুম্ম জনগণের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় নেতা এবং তারা ইচ্ছা করলে প্রয়াত এম এন লারমার মত নির্বাচনে জিতে গিয়ে এমপি হতে পারবে এমনকি ভাগ্যচক্রে মন্ত্রীও হয়ে যেতে পারে কিন্তু। কিন্তু না; বাস্তবতা হচ্ছে ভিন্ন। সেই এম এন লারমার সময়ের ৭৪ সাল আর ২০০১ সালের সময় ভিন্ন, পরিবেশ পরিস্থিতি ভিন্ন। বিগত তিরিশ বছরের পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অনুপ্রবেশকারীদের বিপুল উপস্থিতি এবং সরকারী আধা সরকারী, সামরিক বেসামরিক আমলার উপস্থিতি ৭৪ সালের পরিস্থিতির চাইতে বহুগুন ভিন্নতর হয়ে গেছে। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে প্রসীত সঞ্চয় গং বিগত ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণ করে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এমনই যে পাহাড়ী বাঙ্গালী ভোটারের হার প্রায় সমান। তদুপরি যাবতীয় তুরুপের তাস শাসক গোষ্ঠীর হাতে। এমতাবস্থায় এম এন লারমার মত জাতীয় নেতা হওয়া ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া দূরের কথা তারা এখন একজন ইউ.পি চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হতে পারে না। এই প্রসিত সঞ্চয় চক্রের ব্যক্তিত্ব জাহির করতে এবং উচ্ছভিলাষ চরিতার্থ করতে জুম্ম ছাত্র সমাজে এমনই বিভ্রান্তিমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যে তাতে ছাত্র নেতৃত্বকে উজ্জীবিত ও সাবলীল করার পরিবর্তে চরম হতাশার গহ্বরে ঠেলে দিয়েছে। ফলে এখন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পক্ষে বিপক্ষের বিষবাষ্পে জুম্ম ছাত্র সমাজ আজ হতভম্ব। অথচ রাজনৈতিক মনীষীরা বলেছেন দেশের তরুণরাই হচ্ছে সকাল বেলার আট নটার সূর্য্যের মতই তেজোদ্দীপ্ত। এই ছাত্র তরুণরাই পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রসীত সঞ্চয়রা যদি ছাত্রনেতাই হয়ে থাকে তাহলে তাদের পরিচালিত ছাত্র সংগঠন এত কোণঠাসা,এত দৈন্যদশায় জর্জরিত কেন? এটা কি রাজনৈতীতি ক্ষেত্রে আদর্শগত বিচ্যুতি নয়? সবকিছু পর্যালোচনা করলে দেখা যায় পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনের পরিস্থিতি আছে এবং তাই জুম্ম ছাত্র রাজনীতি আছে। আর সেই রাজনীতির নেতৃত্বও আছে কিন্তু সেই নেতৃত্ব নির্ভুল নয়। তাই এই নেতৃত্বের করণীয় হচ্ছে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করা এবং ভবিষ্যতের ভুল এড়িয়ে চলা; আর পাথেয় হচ্ছে প্রগতিশীল চিন্তাধারায় সুসজ্জিত হওয়া।

লেখকঃ শ্রী তাতিন্দ্র লাল চাকমা
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের মুখপত্র
কেওক্রডং ★ বুলেটিন নং -৩ ★২য় বর্ষ★৩০ জুন, ২০০৩ ইং

Comments

Popular posts from this blog

আদিবাসী অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র