জমি ভোগ করবেন বাসন্তী রেমা,পাচ্ছেন ঘরও
জমি ভোগ করতে পারবেন বাসন্তী রেমা,পাচ্ছেন ঘরও
Indigenous culture and lifestyle
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
টাঙ্গাইলের মধুপুরে গারো নারী বাসন্তী রেমার কলাবাগান কেটে ফেলা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে প্রশাসন, বন বিভাগ ও গারো সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বন বিভাগের দোখলা বাংলোতে এ বৈঠক হয়।
এতে গারো নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাসন্তী রেমাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ঘর ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু ১৫ হাজার টাকা ও শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেনের ৫ হাজার টাকা ইউএনওর মাধ্যমে দেওয়া হবে। বাসন্তী রেমার দখলে থাকা জমি তিনি ভোগদখল এবং কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কারের বাইরেও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বিনা নোটিশে বন এলাকায় কারও কলা, আনারস কৃষি ফসল কাটা হবে না। তাদের অন্যান্য দাবি-দাওয়া প্রশাসনের উচ্চমহলে জানানো হবে।
টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জামিরুল ইসলাম, ইউএনও আরিফা জহুরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, সহকারী বনসংরক্ষক জামাল হোসেন তালুকদার, মধুপুর সার্কেল অফিসার কামরান হোসেন, ওসি তারিক কামাল, দোখলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বেনু, অরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, সাধারণ সম্পাদক হেরিদ সাংমা, এসিডিএফ সভাপতি অজয় এ মৃ, টি ডব্লিউ এ চেয়ারম্যান উইলিয়াম দাজেল, বাগাছাস সভাপতি জন জেত্রা, জিএসএফ সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল প্রমুখ।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর মধুপুরে জমি উদ্ধারের নামে গারো নারী বাসন্তী রেমাসহ কয়েকজনের কলাবাগান কেটে ফেলে বন বিভাগ।
Comments
Post a Comment