Posts

Showing posts from June, 2020

গণপরিষদে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা'র উগ্র-বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

Image
Indigenous people culture and lifestyle মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ১৯৭০-৭৫ সাল পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি হিসেবে দুই দফা দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মাঝে প্রথম দফায় ১৯৭২ সালে তিনি গণপরিষদের সদস্য হিসেবে সংবিধান প্রণেতার ভূমিকা এবং দ্বিতীয় দফায় ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত প্রথম জাতীয় সংসদে সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। খুবই সংক্ষিপ্ত মেয়াদের হলেও জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ভূমিকার তাৎপর্য বিশাল। প্রথমত, মানবেন্দ্র লারমা সর্বদাই পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের বিশেষ ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য এবং স্বাতন্ত্র ও মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ের প্রাণপুরুষের ভূমিকা পালন করছেন, জীবনভর। তারই অংশ হিসেবে গণপরিষদ ও জাতীয় সংসদে তার সক্রিয়তা ছিল বিরামহীন। কিন্তু এটাই তার একমাত্র পরিচয় নয়। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা গণপরিষদের সদস্য হিসেবে এবং পরবর্তীতে সংসদ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকেও সত্যিকার অর্থেই প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জনসাধারণের আইনী অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, নারীর অধিকার, দরিদ্র-বিপন্ন-দুস্থ মানুষের অধিকার, শিক্ষার অধিকারসহ সকল প্রকার অধিকার রক্ষায় তিনি যে কতটা সোচ্চার ছিলেন, তা এই দুই পরিষদ...

ঐতিহাসিক আদিবাসী সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস আজঃ

Image
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন আজকের এই দিনে সাঁওতালরা রক্ত দিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। মুক্তিকামী মানুষের কাছে যা আজও প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। ভারতের ভাগলপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার প্রায় দেড় হাজার বর্গমাইল এলাকা দামিন-ই-কোহ্‌ বা ‘পাহাড়ের ওড়না’ এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। ভাগলপুরের ভগনাডিহি গ্রামের চার ভাই সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে ওই অঞ্চলে সংঘটিত হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ। ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন ভগনাডিহি গ্রামে ওই অঞ্চলের ৪০০টি গ্রামের ১০ হাজার সাঁওতাল কৃষক জমায়েত হন। সমবেত সাঁওতাল কৃষকরা সেদিন শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছিলেন। জমায়েতে সিদ্ধান্ত হয়, অত্যাচারী শোষকদের হাত থেকে রক্ষায় সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে, জমির খাজনা দেওয়া হবে না, প্রত্যেকের যত খুশি জমি চাষ করার স্বাধীনতা থাকবে ও নিজেদের মতো করে সরকার কায়েম করা হবে। বিদ্রোহের মূল দাবি ছিল, ‘জমি চাই, মুক্তি চাই’। জমিদার, মহাজন ও ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ওই বিদ্রোহে পরে এলাকার শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি, বিহারি, হিন্দু-মুসলমান গরিব কৃষক এবং কারিগররাও যোগ দেন। বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া সিধু ও কানু পালকিতে এ...

প্রসঙ্গ জাতীয়তাবাদঃ তুষার শুভ্র তুলু

Image
ত্রিপুরাদের একটি অংশ " জুম্ম জাতীয়তাবাদ" এর নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সরাসরি না বললেও প্রকারান্তরে তারা জুম্ম জনগণের আন্দোলনকে "চাকমা আন্দোলন" বলছেন অথবা জুম্ম জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলগুলিতে ( UPDF, JSS) চাকমাদের সংখ্যাধিক্য দেখিয়ে ( প্রায় ৮০%) এই আন্দোলনকে "চাকমা আধিপত্যবাদী আন্দোলন" বলছেন। আমি বিনয়ের সাথে বলছি আমি ঠিক নিশ্চিত নই উনাদের আপত্তি ঠিক কোন জায়গায়। "জুম্ম জাতীয়তাবাদ নামকরণে" নাকি "অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদি জাতিগোষ্ঠীগুলির ঐক্যবদ্ধ জীবণ মরণ সংগ্রামে" তা সে যে নামেই হোক। ছবিঃ'জুম্ম জাতীয়তাবাদ'পেইজ থেকে নেওয়া। যদি "জুম্ম" শব্দটিতে আপত্তি থেকে থাকে তবে বিকল্প ভাবা যেতে পারতো এবং সেভাবেই প্রস্তাব উত্থাপিত হতে পারতো। যে শব্দ সকলের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটায় না, নিঃসন্দেহে কোন জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শের নামকরণ সেই শব্দে হতে পারে না। আর জুম্ম জাতীয়তাবাদী দলগুলিতে (UPDF, JSS) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে একদম নিচের স্তরে চাকমা বাদে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীগুলির অংশীদারিত্ব কিভাবে বাড়ানো...

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ঐতিহাসিক ৫-দফা দাবীনামাঃ

Image
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ৫-দফা দাবীনামাঃ ১. ক) পার্বত্য চট্টগ্রামকে প্রাদেশিক মর্যাদা প্রদান করা। খ) নিজস্ব আইন পরিষদ সংবলিত প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা। গ) প্রাদেশিক আইন পরিষদ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং প্রদেশ তালিকাভুক্ত বিষয়ে এই প্রাদেশিক আইন পরিষদ প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের অধিকারী হবে। ঘ)দেশরক্ষা,বৈদেশিক মুদ্রা ও ভারি শিল্প ব্যতীত পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ প্রশাসন,পুলিশ,শিক্ষা,স্বাস্থ্য,কৃষি,বনজ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ,মৎস্য,অর্থ,পশুপালন,ব্যবসা- বাণিজ্য,ক্ষুদ্র শিল্প,বেতার ও টেলিভিশন,রাস্তাঘাট,যোগাযোগ ও পরিবহন,ডাক,কর ও খাজনা,জমি ক্রয়-বিক্রয় ও বন্দোবস্তি,আইন-শৃঙ্খলা,বিচার,খনিজ তেল ও      গ্যাস,সংস্কৃতি,পর্যটন,স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন,সমবায়,সংবাদপত্র,পুস্তক ও প্রেস,জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ,সীমান্তরক্ষা,সামাজিক প্রথা ও অভ্যাস,উন্নয়নমূলক কার্যক্রমসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্য সকল বিষয়ে প্রাদেশিক সরকারকে প্রত্যক্ষ প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ও ক্ষমতা প্রদান করা। ঙ) আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও প্রদেশ যাতে নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে,সে জন্য কেন্দ্র ...

কাপ্তাই লেকে ডুবে যাওয়া করুনাময় চাকমার আত্মকথন,রুপকারী মারিশ্যা।

Image
নীচের সেই ঝগড়াবিল আদাম :

"সঙ্গিনী"

Image
চপলা,চঞ্চলা,উচ্ছল,উর্বশী মুখখানী গোলগোল যেন পূর্ণিমার শশী । মাথা ভরা কালো কেশ কুটিতে ঝুলন্ত, বাতাসের সাথে খুঁজিয়া হয়েছে ক্লান্ত। কপালে কালো তিল,আধাঁরের লিপ্ত, কাজল মাখা কালো চোখ দুটি অনুরাগে সিক্ত। লাউয়ের ডগায় মত নিরাবরণ বাহু দুখান, পরশ আবেশে জুড়াতে পারে আমার মন প্রাণ। নিটল,মসৃন তুল তুলে দুটি গালে, সৃর্যের সোনালি আলো প্রতিদিন যায় খেলে। লজ্জ্বা শীলা নম্র স্বল্প ভাষিনী, কোকিল কন্ঠী সুভাষিনী সুহাসিনী রমনী। ধর্ম,কর্ম ও পোষাকে এক পাহাড়ী লালনা, চলনে,বলনে কোথাও নেই কোন ছলনা। দেহের চেয়ে সুন্দর তার মন, তার চেয়ে সুন্দর তার আচরণ । মাটির মলিন ধারায় যেন স্বর্গীয় জ্যোতি, আমার দেহ_মনে ছড়িয়েছে দ্যুতি। মুখটি তার চির চেনা মনে হয়, মেয়েটি কেবল আমার অচেনা রয় । কোথায় হতে এলে সেকি পরিচয় তোমায়, আধো ঘুমে আধো জাগরণে কেন এত অভিসার । তোমায় নিয়ে ভাবনা কেন,কি আমার চাওয়া? হয়ত আমার প্রেমিকা কিংবা সহ- ধর্মীনি, সে কবে থেকেই,তুমি আমার কাব্য লোকের সঙ্গিনী পাহাড়ী লালনা ।। ©সুনয় চাকমামুলিম্মো 

বাঘাইছড়ি উপজেলার দুলুবন্যা গ্রামের যুব সমাজের করোনা সচেতনতা

Image
বাঘাইছড়ি উপজেলার দুলুবন্যা গ্রামের যুব সমাজের করোনা সচেতনতা বৈশ্বিক মহামারি কোভিড -১৯ করোনা সংক্রমন বাংলাদেশে শহর অঞ্চল তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিজেদের গ্রামের সুরক্ষার জন্য এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ৩৫ নং বঙ্গলতলী  ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের  দুলুবন্যা গ্রামের যুব সমাজ বসে নেই,তারা নিজেরাই যুব সমাজের উদ্যোগে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা বিষয়ে জনসচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে সাথে করোনা সংক্রম রোডে জনসচেতনতা মুলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে এবং গ্রামের  বিভিন্ন দোকান-যানবাহনগুলোতে জীবানুনাশক পাউডার স্প্রে করছে।  ৩৫ নং বঙ্গলতলী  ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দুলুবন্যা গ্রামের যুব সমাজ কোভিড-১৯ করোনা প্রতিরোধ টিমের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব, আহসান হাবিব জিতু স্যার করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী ক্র‍য় করার জন্য ৳ ১০,০০০ টাকা নগদ অর্থ সহযোগিতা প্রদান করে এবং মাননীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস প্রদান করেন যে,বঙ্গলতুলী ইউনিয়ন দুলুবন্যা গ্রামের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সচেতনাসহ পরবর্তী বিভিন্ন সহযোগিতায় পাছে ...

"মায়ানমারের চাকমা জাতিগোষ্ঠী ও তাদের সমাজ"

Image

মায়ানমারের চাকমা জাতিগোষ্ঠী ও তাদের সমাজ"

Image

আদিবাসীদের ভূমি ভাবনা,অধিকার এবং বাস্তবতা

Image
Indigenous people culture and lifestyle   জীবনে ভূমিকে ঘিরেই সামগ্রিক জীবন চক্র আর্বতিত হয়।

দেবংসি -টটো চাঙমা

Image
জুম্মো নাঙান বেগে চিনোন, মুয়ে মুয়ে কন। অয়নি তুই জুম্মো কহলে, লেজ উবো গুরি ধাহন। মিলে মরদর মাজারা নেই অার, চিনে ন যায় গহমে। কারোরে কিয়োই কিয়ে ন গরন, কুদু অার ধরেদ্ যমে। অাগো দিনুন উদিলে ঈদোত, চিগুত গরে বুক। বেগর মনত পুদুপাদা, কারোর নেই মনত সুখ। রাদা ডাগত ঘুমোত্তুন উদি, বারা বানিদাক ঢিঙিঁত। ইক্খে এক্কান কাম উজেলে, দোন্দে দাবা সিরিত। মিলেগুনে সালোন লোই, গমে পুজিদাক। এক দাগিয়ে কুলোত লোনেই, হুত্তন জারিদাক। মরত্তুনে পোত্তে অামল্লে, অালহ্ গুুরু লোয়। অাহল সোয়েধাক মাদান দুরি, লাঙল জুঙোল লোয়। জুম্বলায় যেধাক জুমো হিত্তে, হিজেহিচ্যা কামত। সে দিনুন অার কন্ কালে, ন পেবং অার ফেরত। গোদা দিনুন বোদুলি যিয়োন, লুগোর বেগর সাঙচারা। এজহ কিয়েই জুম ন চিনোন, কেনে হোলান জুম্বলা। ধুন্ধুক খানা ঈদোত তুলি, মনান উদে কানি। অাগো দিনোত সুঘে এলং, কি লাগত পের ইয়ানি? বিজ্ঞেন এেস্সে নিত্তো সমার, মানেলক অয়োন অালসি। সুখকানি বেহক ভাজা ভাজা, চোঘত লাগে দেবংসি। পুর:- ২০২০-০৬-২২ ইং। -------------------------------------------

চাক আদিবাসী জীবনধারা

Image
বাংলাদেশের আদিবাসী-জাতি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চাক সম্প্রদায় সংখ্যালঘু জাতির মধ্যে অন্যতম জাতি। -আদিবাসী সংস্কৃতি ও জীবনধারা  চাক সমাজে নিজেদেরকে আচাক বলে থাকে। বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলার তথা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার মধ্যে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় তাদের বসবাস। বর্তমানে জীবন জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন জেলায় চাক সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে। পটভূমি : চাক সমাজ পিতৃতান্ত্রিক সমাজ। আগের প্রথানুযায়ী গর্ভবতী মহিলাকে নিজের স্বামীর ঘরে সন্তান প্রসব করতে হত। এখন কিছুটা এ নিয়ম পরিবর্তন হতে দেখা যায়। পূর্বে বয়স্ক মহিলারাই গর্ভবতী মহিলাদের প্রসব করাতেন। চাক সম্প্রদায়ের মধ্যে নবজাতক শিশুর নাভি( আছুলু ) ছিড়ে না যাওয়া পর্যন্ত (তাকহুং ) চুলার বাম পাশে বিছানা করে থাকতে হয়। যখন নাভি (আছুলু ) ছিড়ে যায় তখন (কিংতং ) ঘরের ভিতর প্রবেশ করে এবং সপ্তাহ খানেকের পর (ফাইকলিঙ্ক ) দোলনা বানানো ও নাম দেওয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সীমিত আকারে হলেও পাড়ার গণমান্য ব্যক্তিদের ডেকে খানার আয়োজন করা হয়। দোলনা বানানোর মূল দায়িত্ব থাকে আউ (মায়ের বাবা) নানা কিংবা মামা এবং নাম দেওয়ার বিষয় যে বয়স্ক মাহিল...

শুনতে কি পাও আদিবাসী মারমা বিজ্ঞানীর ডঃ-মংসানু চিৎকার?

Image
শিক্ষা ও গবেষণায় যার এতো সফল তবুও কেন তার এতো বিষাদ ? পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিগিনালা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেও Mong Sano Marma Bathowai বিশ্বের খ্যাতনামা হাভার্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র বোস্টন শহরে একজন সফল গবেষক। সিনিয়র বিজ্ঞানী থেকে বিজ্ঞানীদের প্রিন্সিপল -Nucleotide । যার জীবনে এতোই অর্জন ও সফলতা তবুও তার মনে কেন এতো হাহাকার? এই সফল বিজ্ঞানী স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে সুখী মনে হলেও তার ভিতরটা বিষাদে ভরা। কিছের তার এতো বিষাদ? সফলতা তার হাতের মুঠোয়। একটির পর একটি সফলতা যতোই তার জীবনে ধরনা দিচ্ছিলো ততোই তার মারমা জাতি পিছনে পরে যাচ্ছিলো। ৩৫ বছর আগে নিজ চোখে দেখেছেন মারমাদের প্রতিপত্তি। কিন্তু ৩৫ বছর পর তিনি অার অঙ্ক মিলাতে পারেন না কিভাবে সেই ঐশ্চর্য্যশালী মারমা জাতিকে দারিদ্র্য গ্রাস করলো। দিগন্তজোড়া যে মারমাদের ভূমি ছিল আজ তা অন্যের। এক সময়ে যে মারমা ছিল জমিদার আজ সে ভূমিহীন। খাগড়াছড়ির শহরের বাজার এলাকা , কোর্ট বিল্ডিং , মধুপুর, মিলনপুর , নিউজিল্যান্ড ও গোলাবাড়ি এলাকায় বর্তমান বাজার মূল্যে কয়েকশ কোটি টাকার ভূমি পানির ধরে বিক্রি করে দিলো। মারমা...

আহ্ ল পালনি -প্রিয়দর্শী চাকমা

Image
চাঙমাগুনে আমি আহ্ ল পালনি পালন গরি, বজর বজর যুগ যুগ পিত্তাপিত্তি আমল ধরি। পালে এস্যোন এদিন্নো জাদর বুড়ো বুড়িয়ে, সিত্তায় আমিও পালেই দিন্নো আগহুজিয়ে। গরুগুনরে মাফ দিদঙ এগদিনত্তায় আলসুয়ানিত্তুন, সেদিন্যা গরুগুনরে গাদেদঙ ছড়াত ফেলে মোরোঙত্তুন। আহ্ ল পালনি এগদিন আগে জিদাজিত্যা গরি লাঙল জুয়োল সাত্তানি ধোদঙ পরিস্কার গরি। ঘরত আনি উদোনত রোদ হাবেদঙ সিঙগোবা বেড়োদাগত আবুজে তদঙ। মামা বুজি বেভেদাগী নুয় জুমত যেদাক নানায়েক্কান শাকপাত তোগে আনিদাক। আহ্ ল পালনি দিন্না শাক পাজন রানিদাক আগা পাদাত পোই জুগলে মা লক্ষী মা'রে ভাত দিদাক।  রাজকীয় হলকর্ষণ উৎসব থাইল্যান্ড                                  ছবি : Bangkok post  দূরত্তুন হায়ত্তুন গরবা গুরবি বলেদাক, বুড়ো বুড়ি ডাগিনায় হুরোহাবি ভাত হাবেদাক। হিয়ে হিয়ে হুরো হাবি ঘরছাবা গরিদাক, ওঝা ডাগি আবদবলা ফিবলা হাদেদাক। বৈদ্য ডাগি বেক্কুনে ছড়াত যেই মাদা ধোদাক, মাদা ধোই পুরেলে বেক্কুনে ঘরত ফিরি এদাক। গরবা গুরবি বলান্যারে মদে ভাঙে ভাত হাবেদাক, হুরো ঠেঙানিলোই ওঝা মুরুব্বীগুনে চাম্বা চেদাক। গেরোজসোর গিরিত্তি ওজোন্দী না লামন্দী অব হোই দিদাক, ওজোন্দী ওবার অলে বেক্কুনে সারিব...

তান্যাবী বারমাস

Image
তান্যাবী রান্যেত যায় সুগুরী দাদি তানেল্লোই, পুরনো হদা ইদোত তুলি গুজুরি গুজুরি হানেল্লোই। আইরে নাদিন তান্যাবী, তুল্যা চাঙ পার্জ্যা দিলে কার লাগি। তান্যাবী কুড়া পুজে সে কুড়াবো করকরায়, বোনোই কোনোই বাজি ন বেজ মর পরানে ধরপরায়। তান্যাবী ভাত হায়, ইত্তুক ইত্তুক উল জুল, গাবুর মর্দে পারি দেদন কুহরি কুহরি রেগেচ ফুল। তান্যাবী ছড়া ইজে, ইজায় মাজে এক কুড়ুম, তান্যাবীরে দোল দোল হন্দে পুনে মাধায় এক সুরুঙ। তান্যাবী হরিণ পুজে,সেই হরিণ্য মরিব, পরনো আদাম পেলেয় যাদে চোঘো পানি পরিব। তান্যাবী গাঙত যায়,কুমড় তল ধূপ গরি, গাবুর মর্দে চুবি আগন, হাগারা ডুবত চুবগোরি। তান্যাবী বেন বুনে, বেনত তলে ব-দলা, তান্যাবীরে ধুরি নিলাক হেরেতকাবা মোনতলা। তান্যাবী ভাত হায়, আর তুলে মেঝাঙত, তান্যাবীরে ধুরি নিলাক মোন গর পেজাঙত। তান্যাবী ধুন্ধ হায়,কুলগিত তলে আঙারা, তান্যাবীত্তুন পরানে মাগের পেরুয়া ছড়ার কাঙারা। -এডমিন Indigenous culture and lifestyle

চাঙমাদের আহ্'ল পালনির ইতিবৃত্ত

Image
চাঙমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতেও যেসব উৎসব পার্বন পালন করা হয় তন্মধ্যে ‘আহ্‌ল পালনী’ অন্যতম। এই আহ্‌ল পালনী উৎসব কবে কিভাবে প্রবর্তন হয় তা চাকমাদের কেউ নির্দিষ্টভাবে জানে বলে মনে হয় না। এই না জানার কারণে হয়ত ব্যতিক্রমভাবে উদযাপন করে থাকে। চাকমারা এ উৎসবটি পালন করে আষাঢ় মাসের সাত(৭) তারিখ। এই দিনটিতে তারা কর্ম বিরতি দেয়। জুম্মোরা জুমে এবং ভূইয়েরা ভূইয়ে কাজ করে না। এক কথায় কেউ দা, কোদাল মাটিতে স্পর্শ করায় না। সেদিন অনেকেই মুরগী কেটে ভাত খায়। মা লক্ষীকে ভাত দেয়, মদ পান করে এবং অতিথি নিমন্ত্রণ দিয়ে আপ্যায়ন করে। তবে ইদানিং এর উদযাপন তেমন হয়না বললেই চলে। বিঝুর মত এ দিনটিতে পাঝন বানানো হয়না তবে বিভিন্ন পিঠা তৈরী করা হয়। বিঝুর ন্যায় তেমন জাকজমকপূর্ণ হয়না এ উৎসব। উপরন্তু নিষ্কর্মা হয়ে ঘরে বসে থাকে মানুষজন। বস্তুত এটিও শাক্য জাতির প্রবর্তিত হলকর্ষণ উৎসবের প্রতিভূ যা কালের পরিক্রমায় পরিবর্তন ঘটেছে। হাজার বছরের সংস্কৃতির মূল স্রোত এক প্রকার বিস্মৃতির অন্তরালে চলে গেছে। উৎসবটা ঠিকই রয়ে গেছে কিন্তু এর উদযাপনের ধরনটা পরিবর্তন হয়েছে। চাকমা জাতি দীর্ঘ রাজনৈতিক ও ভৌগলিক পট পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভি...

নুয়ো কবি সুনানু পূর্ণিমা চাঙমা আর নেই

Image
২০ জুন ২০২০ খ্রিঃ চাঙমা সাহিত্য পত্রিকার এক্কো কবি সুনানু পূর্ণিমা চাঙমা সংসার মেয়্যা-দয়ে সারি বেন্যা মাধান থেঙ থালিল ভিলে খবর পা জিয়্যা। এ পোইদ্যানে চাঙমা সাহিত্য বাহ্ সল্লাদার, কাচালং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সুনানু ভদ্রসেন চাঙমা কোইয়ে ৩/৪ দিন আঘে সাইকেল শিঘদে ঝুরি পচ্যে। মাত্তর দরে ঘরত সে কধা ন’ কয়। পরে বেজত্তুন বেচ ন’ পারের তে খবর পান সাইকেলত্তুন ঝুরি পচ্যে। এচ্যে বেন্যা হাসপাতাল নিবার চলাত পূর্ণিমা চাঙমা থেঙথান্যা। পূর্ণিমা চাঙমা এ বঝর কাচালং উচ্চ বিদ্যালয়ততুন এসএসসি পাশ গচ্ছে। ২০১৮ সালত চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ কাচালং কলেজত চাঙমা লেঘা শিঘিলে তেয়্য চাঙমা লেঘা শিঘিনেই কবিদ্যা লেঘা আরগানি গচ্ছে। তার কবিদ্যাউন চাঙমা সাহিত্য পত্রিকাত ছাবা অয়। চাঙমা সাহিত্য বাহ্’ তার এ অ-কালে থেঙথানানা পোইদ্যানে অমহদ’ আহ্’ভিল্যাচ আ তার সদগতি তবনা গরি দের। ©চাঙমা সাহিত্য পত্রিকা

রাঙ্গামাটি'র সাজেক ও দিঘিনালা ভৈরফা এলাকায় সাম্মাদিঠটি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে মানবিক উপহার প্রদান।

Image
কোভিড-১৯ করোনা কারণে সারা পৃথিবীর দুর্ভোগ ও মহামারিতে বিপর্যয় সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের অসহায়,দুর্গম এলাকা ও কর্মহীন মানুষের মাঝে আজ ১৯ জুন রোজ শুক্রবার সাম্মাদিঠটি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে সাজেকে দুর্গম এলাকার দুর্ভোগ,কর্ওমহীন অসহায় হয়ে পড়া ও দুর্গম এলাকার গরীব অসহায়দের খেতে খাওয়া মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়। সাজেক বন বিহার এলাকায় আজ তাদের হাতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে মোট ১০৭ পরিবারেে হাতে এই উপহার সামগ্রী দেয়া হয়। কোভিড-১৯ এর কারনে আজ সকালে ৯ টায় দিঘিনালা ভৈরফা গ্রামে কর্মহীন ও অত্যান্ত গরীব চাকমা ও ত্রিপুরা পরিবারদেরকে সম্মাদিট্ঠি ফাউন্ডেশন এর উদ্দ্যেগে ৪৫ পরিবারকে উপহার সামগ্রী সহায়তা দেওয়ার হয়৷ জগতের সকল প্রানী সুখী হোক৷৷ সাম্মাদিঠটি ফাউন্ডেশন মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি।

সাম্মাদিঠটি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে রাঙ্গামাটি সাজেক ও দিঘিনালা ভৈরফা এলাকায় মানবিক উপহার প্রদান।

Image
কোভিড-১৯ করোনা কারণে সারা পৃথিবীর দুর্ভোগ ও মহামারিতে বিপর্যয় সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের অসহায়,দুর্গম এলাকা ও কর্মহীন মানুষের মাঝে আজ ১৯ জুন রোজ শুক্রবার সাম্মাদিঠটি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে সাজেকে দুর্গম এলাকার  দুর্ভোগ,কর্মহীন অসহায় হয়ে পড়া  ও দুর্গম এলাকার গরীব অসহায়দের খেতে খাওয়া মানুষের  মাঝে উপহার সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।  সাজেক বন বিহার এলাকায় আজ তাদের হাতে   বিভিন্ন গ্রাম থেকে মোট ১০৭ পরিবারেে হাতে এই উপহার সামগ্রী দেয়া হয়। কোভিড-১৯ এর কারনে আজ সকালে ৯ টায় দিঘিনালা ভৈরফা গ্রামে কর্মহীন ও অত্যান্ত গরীব চাকমা ও ত্রিপুরা পরিবারদেরকে সম্মাদিট্ঠি ফাউন্ডেশন এর উদ্দ্যেগে ৪৫ পরিবারকে উপহার সামগ্রী সহায়তা দেওয়ার হয়৷ জগতের সকল প্রানী সুখী হোক৷৷ সাম্মাদিঠটি ফাউন্ডেশন মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি।